‘ডিজিটাল মার্ট’ একটি রিটেইল সেল বা খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র। ‘ডিজিটাল মার্ট’ কোন ধরনের প্রোডাক্ট প্রস্তুত করে না। তাই ওয়ারেন্টি দাবি করা প্রোডাক্ট ক্রেতার পক্ষ থেকে ‘ডিজিটাল মার্ট’ সরাসরি সরবরাহকারী বা উৎপাদনকারীর কাছে পাঠায়। ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক (প্রোডাক্ট ভেদে), দেশীয় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) কর্তৃক প্রদত্ত নীতিমালা অনুসরন করি।
প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টি দাবি করার সময় অবশ্যই প্রোডাক্টের ক্রয় রশিদ অথবা প্রোডাক্ট ক্রয়ের প্রমান উপস্থাপন করতে হবে, অন্যথায় ওয়ারেন্টি ক্লেইম গ্রহন করা হবে না।
প্রোডাক্টের সরবরাহ এবং সল্পতার উপর ভিত্তি করে ওয়ারেন্টি সম্পন্ন হওয়ার সময়কাল পরিবর্তন হতে পারে। কোন প্রোডাক্ট ওয়ারেন্টি ক্লেইম করার পর পণ্যটি ডেলিভারি পেতে সাধারনত ৭ দিন সময় লাগলেও বিশেষ ক্ষেত্রে ৩৫-৪০ দিন বা তার অধিক সময় লাগতে পারে; কারন মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দেশে পর্যাপ্ত না থাকলে তা বিশেষভাবে আমদানি করতে হয় যা সময় সাপেক্ষ।
যেসব কারনে প্রোডাক্ট ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে নাঃ
প্রোডাক্টের ক্রয় রশিদ, বিল, ইনভয়েস বা কোনরূপ ক্রয়ের প্রমানপত্র না থাকে তাবে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
প্রোডাক্টের কোন অংশ যদি পুড়ে যায়, ভেঙ্গে যায়, কোন অংশ বসে যায়, টেম্পারিং হয়, লেয়ার কাটা , মরিচা পড়া, বাকা হয়ে যাওয়া, ফাঙ্গাস পড়া, কোন পোর্টে ফাটা দাগ, ফাটা হওয়ার মত দাগ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
প্রোডাক্টের স্টিকার বা সিরিয়াল নাম্বার উঠে যাওয়া বা অস্পষ্ট অবস্থায় পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
ল্যাপটপ/নোটবুক কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ব্যাটারি, চার্জার এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক যন্ত্রাংশের ওয়ারেন্টি ১ বছরের অধিক নয় এবং তা মূল প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টির অন্তর্ভুক্ত নয়।
প্রোডাক্টের কেসিং-এর ভিতরের কোন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন এবং সিরিয়াল নাম্বার অমিল পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
প্রোডাক্টের লক বা হুক ভাঙ্গা অথবা খোলার চেষ্টা হয়েছে তা সনাক্ত হয় সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
প্রোডাক্টের স্ক্রিনে যদি স্ক্র্যাচ বা দাগ বেশি পড়া অবস্থায় পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
প্রোডাক্টের কোন যন্ত্রাংশ যদি পোকা-মাকড়ের কারনে কোনরূপ ক্ষয়ক্ষতি বা বিনষ্ট অবস্থায় পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা অয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
প্রোডাক্টের স্ক্রিনে আঘাতের কারনে কোন গোলাকার বা অর্ধচন্দ্রের অনুরুপ কোন ক্ষতি সনাক্ত হলে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
তরল পদার্থের ব্যবহারের কারনে প্রোডাক্টের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় বা তরল পদার্থ প্রোডাক্টের ভিতরে প্রবেশ করে তবে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
প্রোডাক্টের অপব্যবহারের ফলে যদি কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় তবে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
মনিটরের ডেড পিক্সেল (Dead Pixel) বা স্টাক পিক্সেল (Stuck Pixel) এর ওয়ারেন্টি ক্লেইম করতে হলে ন্যূনতম ৩ বা তার অধিক ডেড/স্টাক পিক্সেল দৃশ্যমান হতে হবে।
কোন ভঙ্গুর প্রোডাক্ট, যেমনঃ মনিটর, গ্লাস কেসিং ইত্যাদির ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি ক্লেইমে অবশ্যই প্রোডাক্টের সাথে তার বক্স প্রদান করতে হবে।
যদি কোন প্রোডাক্ট এমন হয়ে থাকে যার গায়ে কোন সিরিয়াল থাকে না কিন্তু বাক্সে সিরিয়াল থাকে, যেমনঃ হেডফোন, ইয়ারফোন, স্মার্ট ওয়াচ, কেবল ইত্যাদি প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে বক্স আবশ্যক।
কোন প্রোডাক্ট যদি ক্রেতা নিজে অথবা অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে মেরামত করার চেষ্টা করেন তাহলে ওয়ারেন্টি বাতিল বলে গন্য হবে।
কাস্টমাইজড সিস্টেমের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম কখনই ওয়ারেন্টির আওতায় পড়বে না।
সেলস রিটার্ন পলিসিঃ
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন প্রোডাক্টের সরবরাহের ঘাটতি থাকলে ক্রেতাকে বিকল্প কোন প্রোডাক্ট গ্রহনের প্রস্তাব দেয়া হবে অথবা মুল্য ফেরত দেয়া হবে। মুল্য ফেরতের ক্ষেত্রে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পূর্ণ বিক্রয় মুল্য অথবা ব্যবহারের সময়সীমার উপর ভিত্তি করে আংশিক মুল্য ফেরত দিতে পারে।
ক্ষেত্রবিশেষে কোন প্রোডাক্ট সরবরাহ না থাকলে ক্রেতা বিকল্প প্রোডাক্ট নেয়ার ক্ষেত্রে আংশিক মুল্য সংযোজন (Adjustment) করতে হতে পারে।
সার্ভিস ওয়ারেন্টি পলিসিঃ
সার্ভিস ওয়ারেন্টির অন্তর্ভুক্ত কোন প্রোডাক্ট ওয়ারেন্টি সীমার মধ্যে থাকলে তা রিপেয়ার করার জন্য কোন বাড়তি মুল্য নেয়া হবে না, তবে যদি কোন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন বা সংযোজন করতে হলে সেই যন্ত্রাংশের মূল্য ক্রেতা পরিশোধ করবেন।
